দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত, সরকারের কাছে সঠিক তথ্য নেই
সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে কত সংখ্যক মানুষ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। নেই এ নিয়ে কোনো গবেষণাও।
এ ব্যাপারে আজ বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “মানুষের শরীরে করোনা শনাক্তের সময় পিসিআর টেস্টে ‘আরএনএ’ ধরা পড়ে। যেটি করোনাভাইরাসের অংশবিশেষ। জেনেটিক ম্যাটিরিয়ালও বলা হয় এটাকে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে করোনাভাইরাসটি মারা গেলেও অন্তত তিন মাস ‘আরএনএ’ শরীরে থেকে যেতে পারে। তবে থাকবেই ব্যাপারটি তেমন নয়।”
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্তের এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। ধরেন, আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের কিছু বেশি। এই সংখ্যার ভেতরে যদি মাত্র ৩০০ মানুষ পুনরায় আক্রান্ত হয়- সেটা কি বেশি? তবে, কতজন পুনরায় আক্রান্ত হয়েছে তার সঠিক হিসাব আমার জানা নেই। আমাদের এই বিষয়ে সেভাবে স্টাডিও করা হয়নি এখনো।’
এদিকে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনাকালে অধিদপ্তরটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমার পরিচিত অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আছেন, যাদের শরীরে করোনার সেকেন্ড ইনফেকশন বা দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হয়েছে। দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ওই সংখ্যাটা কম নয়। যদিও এই মুহূর্তে সেই সংখ্যাটা কত তা জানাতে পারছি না। প্রথমবার ইনফেকশন হয়ে ভালো হয়ে গেছেন, এক থেকে দেড় মাস পার করেছেন। দ্বিতীয়বার আবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাদের পজিটিভ এসেছে।’
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৪ জন। এ নিয়ে এই পর্যন্ত মোট চার হাজার ৮২ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৫১৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত তিন লাখ দুই হাজার ১৪৭ জন শনাক্ত হয়েছে।