দৈনিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত : কাদের
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করায় ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি একাত্তর সালে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তারা এখনো বিষ ছড়াচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করা, সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করাই আজ আমাদের অঙ্গীকার। আজ আমাদের শপথ হবে, আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে মূলোৎপাটন করব। সে লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করব।’
বিদেশে অবস্থানরত যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমাদের নজরে আছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। সময়মতো এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যে খুনিরা বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ৬ষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। তাঁরা পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে পত্রিকার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে হাতিরঝিল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনাথ মিত্র এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে আমার কাছে মামলার কাগজপত্র না থাকায় কী আইনে মামলা করা হয়েছে, তা বলতে পারছি না। ওই মামলায় সম্পাদককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি এখন হাজতেই আছেন।’
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব ছিলেন।