দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু, মৃতদের এলাকা দেখুন
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬১০ জনের মৃত্যু হলো। যা শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ ভাগ।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন করোনা কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুজন, এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ জন এবং বাসায় মরা গেছেন দুজন।
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং তিনজন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, রংপুর বিভাগের দুজন এবং সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন। তিনি বলেন, মৃতদের আরো তথ্য বিশ্লেষণ করলে, ঢাকা শহরে ১০ জন, ঢাকা জেলায় একজন, নারায়ণগঞ্জে একজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, গাজীপুরে একজন, ফরিদপুরে দুজন, নরসিংদীতে দুজন, চট্টগ্রাম জেলায় একজন, চট্টগ্রাম শহরে দুজন, কক্সবাজারে দুজন, কুমিল্লায় দুজন, রংপুরে একজন, পঞ্চগড়ে একজন ও সিলেটে একজন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, এ ছাড়া নতুন করে আরো এক হাজার ৭৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৪ হাজার ৬০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৮৭ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আগের কিছু নমুনা ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো এক হাজার ৪৪৩ জনের। এর মধ্য থেকে এক হাজার ৭৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষার ১৭ দশমিক ৬৬ ভাগ শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৬০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৭৫ জন। যা শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২ ভাগ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরে গত ১৪ এপ্রিল ৩৮ তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে ১২ সপ্তাহ থেকে দেশে ৪৪ হাজার ৬০৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এই পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫৪ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।