মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশে অবৈধভাবে ১১ হাজার বিদেশি নাগরিক রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের জড়িয়ে পড়ায় এদের কেউ কেউ কারাগারে রয়েছে। বাকিরা অবৈধভাবে বসবাস করছে। ব্যবসা বা ভ্রমণের ভিসা নিয়ে এসে তারা দেশে রয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ভ্রমণ ভিসা বা ব্যবসার উদ্দেশে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসে। বিশেষ করে আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে আসলে তারা আর যেতে চায় না। অবৈধভাবে থাকার পর এক পর্যায়ে তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আফ্রিকার দূতাবাস না থাকায় এদের বিষয়ে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। ফলে আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের নিজস্ব খরচেই তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেব।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখন আর কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাবে না। এ পথ এখন বন্ধ হয়েছে। আমাদের দেশের কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে তারা ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরী করতো। এখন এ পথ বন্ধ হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে এখন কঠোর নজরদারি করছে। রোহিঙ্গারা যে জায়গায় বসবাস করছে ওইসব এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ ভালো।’