জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাপদক-২০১৯ পেয়ে দেশসেরা ইউএনও হওয়ার সম্মান লাভ করেছেন সুনামগঞ্জর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন নাহার রুমা। জেলার সদর উপজেলার হাওর এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য তাঁকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

ইউএনও ইয়াসমিন নাহার রুমা জেলার হাওর এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলাসহ নানাভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন করেছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ে দেশের শ্রেষ্ঠ ২১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন বিভাগে এই পদক দিয়ে থাকে। এবার ইউএনওদের মধ্যে সেরা হন ইয়াসমিন নাহার রুমা।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসমিন নাহার রুমা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এই উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নানাভাবে কাজ করেন। তিনি তাঁর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময়, শিক্ষার্থীদের মায়েদের নিয়ে উঠান বৈঠক, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রত্যেকে পৃথক ডায়েরি দেওয়া, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষার্থীদের পোশাক বিতরণসহ নানানভাবে কাজ করেছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে নিয়মিত তদারকি ছিল প্রতিটি বিদ্যালয়ে। এতে তাঁর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। সচেতনতা বাড়ায় কমেছে ঝরেপড়ার হার। বেড়েছে শিক্ষার্থী সংখ্যা।

পদক পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইউএনও ইয়াসমিন রুমা বলেন, ‘এটা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। প্রাথমিক শিক্ষা হলো একটি শিশুর ভীত। এখান থেকে শিশুকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারলে সে ভবিষ্যতেও ভালো করবে। তার মেধা বিকাশের পথ সহজ হবে। তাই আমি প্রাথমিক পর্যায়কে বেছে নিয়েছি। আমি হয়তো এই এলাকায় চিরস্থায়ী চাকরিতে থাকব না, তবে আমি যেখানেই কর্মরত থাকব এই কাজগুলো করে যাব। আমি একা পারব না। এজন্য আমাদের সম্মিলিত চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

পদক পাওয়ার ব্যাপারে ইউএনও বলেন, ‘পুরস্কার সব সময়ই আনন্দের। এটি কাজের মূল্যায়ন। তাই এই পদক পাওয়ার পর নিজের কাজের প্রতি আরো বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল। সবার সহযোগিতা আর ভালোবাসায় আরো ভালো কিছু করতে পারব, এই বিশ্বাস রাখি।’