দিনাজপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ভাঙচুর, গুলিতে শ্রমিক নিহত
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় রূপালী বাংলা জুট মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশের গুলিতে ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এদের মধ্যে সুরত আলী (৩৬) নামের এক শ্রমিক মারা যান। এ সময় কারখানার মহাব্যবস্থাপকের (এমডি) ভাই আতাউর রহমান স্ট্রোক করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুরত আলী বিরল পৌরসভা এলাকার হোসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার বিকেলে কারখানা বন্ধের কোনো নোটিশ না পেয়ে চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার অফিসের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। সন্ধ্যা থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সমঝোতা না হওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে অফিস ভাঙচুর শুরু করলে বিরল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। নিহত হন সুরত আলী নামের এক শ্রমিক। আহতদের বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শ্রমিকরা মিল কর্তৃপক্ষসহ পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মোকাদ্দেস বুলেটে শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বুলেটে শ্রমিক সুরত আলী নিহত হন বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সুরত আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।