বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি না মানা হলে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভাববেন বিএনপির সাংসদেরা।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে আজ রোববার সকালে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ কথা জানান বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

হারুনুর রশীদ বলেন, গত ১৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট—খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে। ৪০১ ধারার সঠিক প্রয়োগ করলে আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেতেন বলে দাবি করেন হারুনুর রশীদ।

বিএনপির এ সাংসদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে। তা দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে দিচ্ছেন না।’

‘আইনমন্ত্রী একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা হাস্যকর। ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে এ পর্যন্ত ৩০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে’ বলে দাবি করেন মো. হারুনুর রশীদ।

হারুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছেন—বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে। আমরা তো এ দাবি করিনি। আমাদের দাবি—খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।’

বিএনপির এ সাংসদ আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচনের সংসদে আমরা যোগ দিয়েছি, প্রতিজ্ঞা করেছি—জনগণের কথা বলব। এখন জনগণের যে সংকট, গণতন্ত্রের সংকট—এ অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সংসদ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করবেন না। আমি আগেও বলেছি—আমাদের ন্যায্য দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা সংসদ থেকে বের হব কি না, সে বিষয়ে ভাবব।’

মানববন্ধনে বিএনপির সংসদ সদস্যদের মধ্যে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, রুমিন ফারহানা, মো. মোশাররফ হোসেন এবং আবদুস ভুঞা সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।