ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক গ্রেপ্তার
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী এক বাসের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
আজ সোমবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর বলেন, ‘আজ সকালে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার গোতাশিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্যাপার এম এ রহিম নামের বাসের চালক মো. আনসার আলীকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়।'
মুক্তা ধর আরও বলেন, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার মহাখালী থেকে স্যাপার এম এ রহিম পরিবহণের একটি বাস শেরপুরের ঝিনাইগাতীর উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটিতে ৪২ জন যাত্রী ছিল। একই সময়ে সৌখিন পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় সারা রাস্তাতেই যান দুটির চালক প্রতিযোগিতা করে বেপরোয়া গতিতে বাস চালান। দ্রুতগতিতে চলতে থাকা স্যাপার এম এ রহিম পরিবহণের বাসটি ত্রিশাল থানার চেলেরঘাট এলাকায় পৌঁছার পর পার্কিং করা একটি বিকল ড্রাম্প ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত ১০ থেকে ১২ জনকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় মোট সাতজন মৃত্যুবরণ করলে মো. তাজউদ্দিন (৪৮) উক্ত বাস ও ডাম্প ট্রাকের অজ্ঞাত পরিচয় চালকদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহণ আইন,২০১৮ অনুযায়ী একটি মামলা করেন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।
মুক্তা ধর বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এরমধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছে। নিহতরা হলেন আজমল মণ্ডল ওরফে ফজু (৩৫), তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫), ছেলে আমানুল্লাহ (৫), মেয়ে মারিয়া আক্তার ওরফে আজমিনা (৮)। মৃত অন্য তিনজন হলেন ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫), মো. সিরাজ (৩৫) ও হেলেনা (৪০)।’
অল্প সময়ের মধ্যে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার হোতা বাসচালককে গ্রেপ্তার সিআইডি তথা বাংলাদেশ পুলিশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।