আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারকাজে সংসদ সদস্যরা অংশ নিলে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার একটি ইউ নোট (আন-অফিশিয়াল নোট বা অনানুষ্ঠানিক চিঠি) দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ‘ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম (উত্তর) ও আব্দুল বাতেনের (দক্ষিণ) কাছে তিনি চিঠিটি দিয়েছেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। আগামীকাল শুক্রবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। তার পরই শুরু হয়ে যাবে ভোটযুদ্ধ পর্ব। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচার বা কোনো ধরনের প্রশাসনিক প্রভাব খাটাতে পারেন না।

ভোটযুদ্ধ শুরুর আগে ইসি মাহবুব নিজের ‘উদ্বেগের’ কথা উল্লেখ করে চিঠিতে লিখেন, ‘আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারকার্যে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করছেন। এটি সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লঙ্ঘন।

“উক্ত বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না’।”

‘এমতাবস্থায় সংসদ সদস্যরা কীভাবে এই নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন, তা বোধগম্য নয়’ বলেও প্রশ্ন তুলেন ইসি মাহবুব। তিনি ঢাকা সিটি নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে অংশগ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।