ঢাকায় ৫৩টি ভোটকেন্দ্রে পূজা হয় : ইসি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে কতগুলো স্কুলে পূজা হয়, তার একটি খসড়া তালিকা পাওয়া গেছে। একটা পরিসংখ্যান আমরা নিয়েছি। উত্তর সিটিতে ভোট হবে এমন এক হাজার ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা হয়। আর দক্ষিণে এক হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসির এই জ্যেষ্ঠ সচিব।
ইসি সচিব বলেন, ‘স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই। ভোট এবং পূজার জন্য আলাদা আলাদা স্থান থাকবে। কোথাও প্রয়োজন হলে ভোটের স্থানে প্যান্ডেল করে দেওয়া হবে।’
একসঙ্গে পূজা আর ভোট হলে বিকল্প চিন্তা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এটাও তথ্য নেওয়া হয়েছে পূজা তারা কোথায় করে। যেমন- অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে কথা বলা হয়েছে, এটা তারা করে তাদের অডিটরিয়ামে। এটা বেশ বড় স্কুল, তাই সব রুম নির্বাচনের জন্যও লাগবে না। পূজার জন্য তো লাগবেই না। অতএব, পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব থেকে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেন নির্বাচনের জন্য পূজার সমস্যা না হয়। পূজার জন্য নির্বাচনের সমস্যা না হয়। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই।’
ভোটের দিনের যানবাহন নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এক এলাকায় বসবাস করে কিন্তু ভোটার অন্য এলাকার, তারা তাদের প্রাইভেটকার নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। যদি পুলিশ ধরে, বাসার ঠিকনা আর ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে বলতে হবে যে, ভোট দিতে আসছি, তাহলে তাঁরা পারবেন।’
প্রতি ৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি নির্বাচনী ক্যাম্প করার বিধান আছে। কিন্তু প্রার্থীরা আট থেকে ১০টি করে ক্যাম্প করছেন- এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা যদি আচরণ বিধিমালার বাইরে হয়, তাহলে রিটার্রিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দেখবেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ তাঁরা নিয়েছেন। শাস্তিও দিয়েছেন।’
বহিরাগতদের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা শহর থেকে বহিরাগতদের বের করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা শহরে সারাদেশ থেকে লোকজন আসে। তারপর দিনমজুর, তাঁরা ঢাকার বাইরে থেকে আসেন। তাদের বের করা সম্ভব না।
এ সময় ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রাইভেটকার জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে প্রমাণ দেখাতে হবে। ভোট দিতে যেতে পারবে। তাই বলে এমনি ঘুরবে সেটা হবে না।