ঢাকায় নৌ চলাচলের উপযোগী করে সেতু হবে : মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার চারপাশে যেসব সেতু নৌ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে সেগুলোকে ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ যেসব মন্ত্রণালয় অথবা অধিদপ্তর থেকে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন সেতু ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বলেন, নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিসহ রাজধানীর উন্নয়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা সংস্থা থেকে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ওভারল্যাপিং অর্থাৎ একই কাজের জন্য একাধিক প্রকল্প আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পসমূহে অব্যবস্থপনা দূর করে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গৃহীত প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সব প্রকল্পকে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে আনা হবে।
ঢাকার চারপাশে নদীর ৯০ শতাংশ দখলমুক্ত হয়েছে এবং কিছু জায়গায় মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান থাকায় জটিলতা আছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির কাজ ধীর গতি এসেছে। অবৈধভাবে যে কেউ নদ-নদী, খাল-বিল দখল করে রাখুক না কেন তাদের উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্তসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।