ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিনি নিকোলস। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কানাডার হাইকমিশনার।

গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনারকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, সবার ঢাকা অ্যাপে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা সম্পর্কে অবগত করেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, ‘নাগরিক সেবা সহজিকরণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা স্মার্ট পার্কিং নিয়ে কাজ করছি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও চলমান আছে।’

এ সময় মেয়র কানাডার হাইকমিশনারকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খালগুলো খনন করে এগুলোর টেকসই উন্নয়নে কানাডার কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার আহ্বান করেন এবং খালগুলোর উন্নয়ন করে নৌযান চলাচলের পরিকল্পনার কথা জানান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মিত মাঠ ও পার্কগুলোর কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিনি নিকোলস বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই মাঠ ও পার্কগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকা শহরের ভেতরে অনেকগুলো খাল রয়েছে। খালগুলো খনন করে নৌপথ সৃষ্টি হলে ঢাকার ভেতরে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ডিএনসিসির এই উদ্যোগে কানাডা সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করবে।’

এ সময় হাইকমিশনার ডিএনসিসি মেয়রকে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের আহ্বান জানান। জবাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে ডিএনসিসির মেয়র ও কানাডার হাইকমিশনার একে অপরকে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, কানাডিয়ান হাইকমিশন বাংলাদেশের কাউন্সিলর ও সিনিয়র ট্রেড কমিশনার এঞ্জেলা ডার্ক, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।