ডা. মঈনের মৃত্যুতে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের শোক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স. ম. গোলাম কিবরিয়া ও মহাসচিব মুন্সী মো. জালাল উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তাঁরা মরহুম ডা. মো. মঈন উদ্দিনের বিদেহী আত্মার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন এবং পরিবারের শোকসন্তুপ্ত সদস্যবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
ডা. মো. মঈন উদ্দিন বিসিএস ২২তম ব্যাচের একজন চিকিৎসক হিসেবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে তিনি সংক্রমিত হন। তাঁর এই ত্যাগের কথা দেশবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ডা. মঈন উদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসক হারাল।
ডা. মঈন উদ্দিন সিলেট নগরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর স্ত্রীও চিকিৎসক। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। গত ৫ এপ্রিল তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ৭ এপ্রিল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ এপ্রিল তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় গত সোমবার হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার ভোরে মারা যান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গতকাল অনলাইন ব্রিফিংয়ের শুরুতে জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ওই চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ওই চিকিৎসকের পরিবারের সব দায়িত্ব সরকার বহন করবে।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে ডা. মঈনকে দাফন করা হয়।