টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা জরুরি : ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি
টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি বলে জানিয়েছেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।
ডিআইজি বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। এজন্য টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সমাজে যেসব অপরাধ ঘটে শুধু সেটা দমন করলেই চলবে না। এর গোড়ায় গিয়ে কারণ উদঘাটন করতে হবে এবং অপরাধের শেকড় তুলে ফেলতে হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ কমান্ড কন্ট্রোল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিআইজি মো. হারুন অর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সুফল, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, মাদক জব্দসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পরে দক্ষতা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ, নেত্রকোনার শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক সোহেল রানা, জামালপুরের আব্দুল লতিফ মিয়া, শ্রেষ্ঠ পরোয়ানা নিষ্পত্তিকারী শেরপুরের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলাম এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ সংবাদদাতা হিসেবে লাল মিয়াকে পুরষ্কৃত করেন।
এ সময় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভুঁয়া, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ও নেত্রকোনা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলার উন্নতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিআইজি বলেন, ‘ময়মনসিংহ রেঞ্জে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড এলাকায় ৪৫৯টি বিট পুলিশ কেন্দ্র রয়েছে। এই কার্যক্রমের ফলে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৪টি সাজাসহ ২১৮৩টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি হয়েছে। অক্টোবর মাসে আগের চেয়ে ৪৭৮টি বেশি পরোয়ানা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা অর্জনের ফলেই আইনশৃঙ্খলার এত উন্নতি হচ্ছে। এ ছাড়া অক্টোবর মাসে আদালতের বাইরে এক হাজারের বেশি সমস্যার সমাধান হয়েছে বিট পুলিশিং কেন্দ্রে।