জেলার পার্থ গোপালের মামলার তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
রাজধানীর নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিকের দুর্নীতির মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জামিন শুনানি শেষে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও কামরুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ তাঁর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলার তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ৩০ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা এটা জানাবেন। আর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।’
এর আগে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন রাজধানীর নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের দুর্নীতির মামলায় সিলেটের সাময়িক বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।
গত ২৮ জুলাই বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। তারও আগে সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ টাকা তাঁর বাসায় রয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।
পরে ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন।