জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। অন্যান্য বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হলেও এবার কোনো সমাবেশ বা বড় পরিসরে কোনো অনুষ্ঠান থাকছে না। এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার দুপুরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের অন্যান্য দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একই দিন বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শুধু স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল আলোচনা হবে। যেখানে দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য বক্তব্য দেবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে শহীদ জিয়ার অবদান শীর্ষক মোট ১২টি টপিকস নিয়ে ১০ জুন পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তা ছাড়া প্রতিবছর ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রান্না করা খাবার বিতরণ করতেন। তবে এবার তৈরি খাবার নয়, খাদ্যের উপাদান, কাপড় বা নগদ অর্থ সহায়তা করতে পারবেন। কোনোমতেই কোনো জমায়েত বা সমাবেশ করা যাবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা আমাদের মেনে চলতে হবে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশি যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদেরসহ অন্য সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেইসঙ্গে আক্রান্তদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শহীদ জিয়া বাঙালি জাতিকে একটি বাংলাদেশি জাতি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে দেশবাসীর হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠিত ও সমৃদ্ধশালী হয়েছে। বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই, যেখানে শহীদ জিয়ার হাতের স্পর্শ নেই। তিনি সবক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করতে পেরেছিলেন। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
এ সময় শহীদ জিয়ার বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকারের চরম অবহেলা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে কারণে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তারা করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের নামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে মানুষ ছুটি ভোগ করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনো কোয়ারেন্টিনে আছেন।