জামালপুরে মজনু হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরে পরকীয়ার জেরে মিজানুর রহমান মজনু হত্যা মামলায় মা ও মেয়েসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা (৩৫), তার মা মোসা. সুফিয়া আক্তার রিনা (৫৩) ও মো. এহসান আহাম্মেদ সোহাগ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, পরকীয়ার জেরে ২০১৩ সালের ৮ মে সকালে জামালপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আ. বারী সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান মজনুকে হত্যা করে পাশের গ্রামের একটি পতিত জমিতে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্মল কান্তি আরও জানান, ওই ঘটনার দিনই নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুত্রবধূ ফারজানা ইসলাম লাকীসহ (৩৮) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় নিহতের স্ত্রীকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়। পাশাপাশি কললিস্ট পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২২ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষের ভিত্তিতে এ রায় দেন। রায়ে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়। এ ছাড়াও সুফিয়া আক্তার রিনা ও শ্রীরামপুর গ্রামের মো. এহসান আহাম্মেদ সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় আবুল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, আনোয়ারুল করিম শাজাহান ও মো. মোশারফ হোসেন।