আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেব। এটা আমাদের সিদ্ধান্তে আছে। সরকারকে প্রস্তাব দেব সেনাবাহিনীর সহায়তা দেওয়ার জন্য।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্যকারী হিসেবে থাকে। তাঁরা টহল দেয় এবং যেখানে যখন ডাক পড়ে সেখানে যায়।

তবে সেনাদের কোনো বিচারক ক্ষমতা না দেওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্ট্যান্ডিং ফোর্স বা টহল ও ইভিএমে টেকনিক্যাল সহায়তাকারী হিসেবে তারা থাকবে।

মো. আলমগীর আরও বলেন, সরকারের কাছে যে কোনো সংস্থার সহযোগিতা আমরা চাইতে পারি। কাজেই যদি সেনাবাহিনীর সহায়তা চাই, তারা সেই সহায়তা দিতে বাধ্য। ভোটের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ ইসি চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটা রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব ছিল যেন নির্বাচনের সময়ে ওই মন্ত্রণালয়গুলো কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। আমরা সেটার সঙ্গে একমত হই নাই। তিনি বলেন, ভোটের সময় চারটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কমিশন চায় বলে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তা সঠিক নয়। তারা সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে যা যা সহায়তা প্রয়োজন তাই চান।

আলমগীর বলেন, আইনশৃঙ্খলার বাইরে সেনাবাহিনীকে দেখার সুযোগ নাই। ইভিএমে যেখানে ভোট হয় সেখানে তাদের কিছু এক্সপার্ট লোক আছে। কোনো সমস্যা হলে সেটা দেখার জন্য তারা থাকবেন। তারা থাকবেন টেকনিক্যাল সহকারী হিসেবে। এছাড়া অন্য কোনো ভূমিকায় রাখার সুযোগ নেই।