জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।’
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় কেউ কেউ। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এখনও দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হচ্ছে। যারা সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্রের চোরাগলির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি, তারা দেশ-বিদেশের নানা স্থানে মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ এবং অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। খুনি ঘাতকদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। ইতিহাসে কার কী ভূমিকা তা সবই জানা আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর উত্থান অনেকেরই পছন্দ হয়নি। জেলের জাল পরিয়ে বাসন্তীকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিল। যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। কারণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “‘জিয়াউর রহমানের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে কফিনে জিয়ার লাশ ছিল’—বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যে কী প্রমাণিত হয়? মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাজা পড়েছে, কিন্তু কফিনে যে লাশ ছিল, তা তো দেখাতে পারেননি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায়ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল, কিন্তু কফিনে তো তাঁর লাশ ছিল না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমতুল্লাহ, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।