ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল চালকের
ছিনতাই শেষে টাকা ভাগবাটোয়ারা করছিল কয়েকজন। সে সময় তাদের তিরষ্কার করতে থাকেন পিকআপচালক সাঈদ খোকন। ছিনতাইকারীদের ঘিরেও ফেলেন দু-তিনজন। তখন ছিনতাইকারীদের মধ্যে অপু (২০) নামের একজন সাঈদ খোকনের বুকে ছুরি মারেন।
ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাছ বাজারে। সময় তখন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা। এরপর সাঈদ খোকনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুর রহমান। তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল সাঈদ খোকনের। এ ঘটনায় মূল আসামি অপুসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
সাঈদ খোকনকে ঢামেকে নিয়ে যান আরেক পিকআপচালক আল আমিন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীর মাছ বাজারের পাশে পিকআপ পার্কিং করে বসে ছিলেন সাঈদ। ছিনতাইকারীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে ছুরি মারা হয়। এরপর তাঁর কাছে থাকা টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।’
পরিদর্শক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় মূল আসামি অর্থাৎ যিনি ছুরি বসিয়েছিলেন সেই অপুকে আমরা আটক করেছি। এ ছাড়া অপুর আরো চার বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তবে এদের ভেতরে যদি কেউ নিরাপরাধ হয়ে থাকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যাচাই-বাছাই চলছে। আর অপু আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, সেই ছুরি বসিয়েছিল। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল গৌরনদী উপজেলা বাগমারা গ্রামে শামসুল হকের ছেলে সাঈদ খোকন। এক মেয়ে ও স্ত্রী মালাসহ পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা নগর এলাকায় থাকতেন। তিনি পেশায় পিকআপের চালক ছিলেন।