চীনফেরত বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নেই : আইইডিসিআর
চীনফেরত ৩১২ বাংলাদেশির মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নেই বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এ ছাড়া বাকিদের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক বলেও জানানো হয়। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা।
এ সময় আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘চীন থেকে ফেরত আসার পর সব যাত্রীকে আমরা বিমানে থাকা অবস্থাতেই স্ক্রিনিং করি। সেখানে ৩১২ জনের মধ্যে আটজনের শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি ছিল। পরে আমরা ওই আটজনকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠাই। এর মধ্যে সাতজনকে আমরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠাই। তাঁদের মধ্যে এক নারীকে আমরা সিএমএইচে পাঠাই। ওইদিনই আমরা আটজনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করি। পরে গতকাল পরীক্ষার ফলাফল পাই। ফলাফলে আমরা জানতে পারি, ওই আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।’
ডা. সাবরিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘যে সাতজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছিলেন, তাঁদের আমরা হজ ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিই। যিনি সিএমএইচে ছিলেন, তিনি যেহেতু গর্ভবতী নারী এবং তাঁর ছোট সন্তান রয়েছে, তাই তাঁকে সিএমএইচেই রাখা হয়েছে। এ ছাড়া চীনফেরত ৩১২ জনের মধ্যে আরো দুটি পরিবার ছিল, যাঁদের বাচ্চা খুবই ছোট। সে জন্য ওই দুই পরিবারকে বাচ্চাসহ আমরা সিএমএইচে নেই। বাচ্চারা বেশি ভালনারেবল (সহজে ক্ষতি হতে পারে), সে জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে জ্বরের কারণে হজ ক্যাম্পে থাকা একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে একজনের শরীরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠাই। তবে তিনি সুস্থ আছেন। সাবধানতার জন্য তাঁকে আলাদা রাখা হয়েছে। আর বাকিদের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।’
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র চীনের উহান শহরে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে গত শনিবার দেশে ফেরেন।
এর আগে গত শুক্রবার বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত আনার অনুমতি দেয় চীনের বিমান কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। এ ছাড়া আজ সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৭ হাজার ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত হুবেই প্রদশের উহান শহরে।