চট্টগ্রামে চিকিৎসকের মৃত্যু
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ফুসফুসের সমস্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ভর্তি হন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহিদুল আনোয়ার (৭০)। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তিনি চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডা. শহিদুল আনোয়ার পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে অবসর নেন। এরপর নগরীর জামালখানে চেম্বারে বসতেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরেফিন মাহমুদ জানান, ডা. শহিদুল আনোয়ার বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর লাশ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
ডা. শহিদুল আনোয়ারের স্বজনরা জানায়, তিনি প্রথমে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর ফুসফুসসহ হার্টের সমস্যা নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে ফুসফুসের জটিলতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সমিরুল ইসলাম বাবু নামের আরো এক চিকিৎসক মারা গেছেন। গত ১৭ জুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আবাসিক সিনিয়র চিকিৎসক ডা. নুরুল হক, গত ১৩ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে ডা. আরিফ হাসান, গত ৩ জুন চমেক হাসপাতালে এহসানুল করিম, ৪ জুন চমেক হাসপাতালে মারা যান ডা. মুহিদ হাসান ও ঈদের দিন নগরীর মা ও শিশু হাসপাতালে মারা যান চিকিৎসক এ এম জাফর হোসাইন রুমি।