চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে নিহত ছয়জনের পরিচয় মিলেছে
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটায় গ্যাসের পাইপলাইনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মরদেহ এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় না পাওয়া একজনের লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী উপকমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) আবদুর রব বলেন, ‘নিহত সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলেও বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেল ৩টার দিকে আবদুস শুক্কুর (৫০) নামের আরো একজনকে শনাক্ত করে তাঁর স্বজনরা। নিহত শুক্কুর পেশায় রিকশাচালক।’
এ ছাড়া, মো. সেলিম (৪০) নামের এক ভ্যানচালকের মরদেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর বন্ধু জসিম। সেলিমের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়।
পরিচয় পাওয়া নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পটিয়ার ঊনাইনপুরা শাহগদী মার্কেট এলাকার বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী এবং মেহের আঁটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া। তাঁর মরদেহ কাকা মৃদুল বড়ুয়ার কাছে বিকেলে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণের পর দেয়াল চাপায় নিহত হন উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০)। তিনি পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন। তাঁর মরদেহ স্ত্রী সাদিয়া বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিচয় পাওয়া আরো দুজন হলেন সাতকানিয়ার মৌলভির দোকান এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী আতাউর রহমানের স্ত্রী জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তাঁর বড় ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (৭)।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত অন্তত নয়জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে আছেন যে ভবন থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় ওই ভবনের বাসিন্দা সন্ধ্যা নাথ (৪০) ও তার বড় বোনের মেয়ে অর্পিতা নাথ। অর্পিতা চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ও সন্ধ্যা ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি আছেন।
চমেক হাসপাতালে আরো ভর্তি আছেন ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩), ইউসুফ (৪০), ইসমাইল (৩০) ও আবদুল হামিদ (৪২)। বিস্ফোরণে ছিটকে আসা দেয়ালের অংশ পড়ে তাঁরা আঘাত পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, আজ রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার ব্রিকফিল্ড রোডে অবস্থিত পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের সামনে গ্যাসের পাইপলাইন প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনের দুটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যায়। আহত হয় আরো কয়েকজন।