ঘুমন্ত সহকর্মীর গলা কেটে টাকা নিয়ে পালাল রোহিঙ্গা যুবক
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক রোহিঙ্গা যুবককে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ রোববার ভোররাতে উপজেলার কোটবাজার দক্ষিণ স্টেশন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত দোকান কর্মচারী ফোরকান আহমদ ওরফে কালু (২২) উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে। তিনি শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির ডেকোরেশনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা যুবকের নাম আয়াজ (২২)। তিনি সহকর্মীকে হত্যার পর প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আজ বিকেলে এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সঞ্জুর মোরশেদ।
এ ঘটনায় ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহ আলমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, নিহত কালু চার-পাঁচদিন আগে আয়াজ নামের ওই রোহিঙ্গা যুবককে এনে কাজে লাগিয়েছিলেন। শাহ আলম তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতেন না। কালুই তাকে চিনত। ফলে রোহিঙ্গা যুবক কোন শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ছিল সেটা শাহ আলম জানেন না। সেটি বের করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রতিদিনের মতোই কালু ও রোহিঙ্গা যুবক ডেকোরেশনের দোকানে গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিলো। রাতের কোনো একসময় কালুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তারপর হয়তো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ওই রোহিঙ্গা কর্মচারী।
খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টাকার লোভে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত ছিল না সেটাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।