গোপীবাগে ইশরাকের প্রচারে হামলা, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাস্তার দুই দিক থেকে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। দুই পক্ষের কর্মীরা প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করেন। এতে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
আজ রোববার দুপুরে গোপীবাগে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে নয়া দিগন্তের রিপোর্টার তৌহিদ ইকবাল মজুমদার ও সময় টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন আজ রাজধানীর মতিঝিল ও টিকাটুলীতে নির্বাচনী প্রচার শেষে গোপীবাগের বাসায় ফিরছিলেন। তাঁরা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের সামনে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। নির্বাচনী অফিসের ওপর থেকে ইটপাটকেল ও চেয়ার নিক্ষেপ করা হয়। কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।
প্রায় ২০ মিনিট চলা এ সংঘর্ষে প্রার্থী, নেতাকর্মী ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে ওয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সংঘর্ষের খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে শান্ত করি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প থেকে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। হামলার ঘটনা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাটখোলা থেকে ইত্তেফাকের মোড় হয়ে বাসায় ফিরছিলাম। টিকাটুলী মোড়ে আসার পর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প থেকে লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে। গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে আমার একজন কর্মীকে তারা ভেতরে নিয়ে গেছে শুনে আমি তাঁকে উদ্ধার করতে যাই। পরে আমার গায়েও ইট লাগতে নিয়েছিল। এই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতেই অস্ত্র আছে। এটা সবাই জানে। বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হলো।’
ইশরাক আরো বলেন, ‘গোপীবাগে আমার দাদার বাড়ি। আমার পৈতৃক বাড়িতে আসছিলাম। তখনই হামলা চালানো হলো। আমার কি আমার নিজের বাসায় আসতেও পুলিশের অনুমতি নিতে হবে?’