গোপালগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
গোপালগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ও বেলা ১১টার দিকে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে। এ দুটি সংঘর্ষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ও ১০ পুলিশসহ অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রামের আজর ফকির (৫০) এবং মুকসুদপুর উপজেলার বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুজন শেখ (২৬)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বনগ্রাম বিলের মধ্যে মাসুম মোল্লার পুকুরপাড়ে মধ্যপাড়ার কতিপয় যুবক জুয়ার আসর বসায়। গতকাল রোববার বিকেলে পশ্চিমপাড়ার যুবকরা জুয়ার আসরে বাধা দেন। জুয়ার আসরে উপস্থিত জুয়ারিদের পশ্চিমপাড়ার লোকজন লাঞ্ছিত করেন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জের ধরে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া ও মধ্যপাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে আজর ফকির ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, এলাকার আধিপত্য ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে সুজন শেখ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো ২০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আধিপত্য নিয়ে কেরামত মুন্সির সঙ্গে ইলিয়াস মাতুব্বরের বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি একটি বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেরামত মুন্সির লোকজন ঘর তোলেন। এতে ইলিয়াসের লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
গতকাল রাতে এশার নামাজে গ্রামের মসজিদে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে। কেরামত মুন্সির সমর্থক নিহত সুজনের বাবা মজিবর শেখ মসজিদের মধ্যে পাঁচজনের বেশি নামাজপড়া যাবে না বলে প্রতিপক্ষ ইলিয়াসের লোকজনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার ফজরের নামাজের পর সকাল পৌনে ৭টার দিকে দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে প্রতিপক্ষের আঘাতে সুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত ২০ জন।
আহতদের গোপালগঞ্জ, মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৮ থেকে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুটি স্থানেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।