কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন করে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এটা সহ্য করা যায় না।’

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন।

একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আবদুল মোতালেব শিকদারের কবরস্থানে দ্রুত ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা আবদুল মোতালেব শিকদার গত ২৮ জানুয়ারি রাতে মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়নি। পরে ২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।