আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। তবে, মামলা এস্টাবলিশ হলে বা কোর্ট যদি মনে করেন যে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে, তাহলে সেরকম পদক্ষেপ নেবেন। আর যদি মনে করেন যে, সমন জারি করলেই যথেষ্ট, তাহলে সমন জারি করবেন। কিন্তু, তাই বলে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এই আইন বাতিল প্রজেক্ট হবে এটাও কোনোভাবে আমি সমর্থন করব না।”

রাজধানীর বনানীতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে হোটেল পার্লে ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সংবিধানে বলেছিলেন, বাক স্বাধীনতা হরণ করা যাবে না। তিনি সংবিধানে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। এগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা হচ্ছে সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইমও মোকাবিলা করতে হবে। এখন পেনাল কোডের অনেক অপরাধ আছে, যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।’

আনিসুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হওয়ার পর কিছু মিস ইউজ এবং এবিউজ যে হয়নি, তাতো না। এজন্য ২০১৯ সালে একটি সেল গঠন করা হয়েছে।’

বিদায়ী সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে এলআরএফের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, নব-নির্বাচিত সভাপতি আশুতোষ সরকার, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রমুখ।