খুলনায় বিএনপির মানববন্ধন, দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি
ভোটাধিকার হরণ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ মানববন্ধন শেষে এবং আগে দুই গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তি ঘটনা ঘটে।
খুলনায় বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে প্রহসন আখ্যায়িত করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এই দাবি মানা না হলে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ডাক আসবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি নেতারা বলেন, বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তত থাকতে হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ শেখ মুজিবর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, এস এ রহমান বাবুল, আব্দুর রকিব মল্লিক, হাফিজুর রহমান মনি, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, তৈয়েবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, নুরুল হুদা খান বাবু প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বিএনপির মহানগর, জেলা, ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী অংশ নেয়। রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সাজানো মধ্যরাতের ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সেজন্য রাষ্ট্রপতি আরও একটি রকিব-হুদামার্কা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংলাপের নাটক করছেন। এই নাটক বন্ধ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।
গণতন্ত্রের সংগ্রামের আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এই সরকারকেই তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।