ক্যাসিনোকাণ্ড : যুবলীগের সাবেক নেতা খালেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে তিনজন সাক্ষ্য দেন। তাঁরা হলেন ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা, সার্জেন্ট জহিরুল ইসলাম ও চালক হুমায়ুন কবির।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব-৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব।
এ মামলার পরে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। অভিযোগপত্রের পরে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ খালেদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তা তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। পরে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগনেতা খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।