কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে অক্সিজেন ব্যাংক। জেলা সদরের একদল তরুণের উদ্যোগে এ কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে ‘ডেংগু রোধে কিশোরগঞ্জ’—নামের স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক সামাজিক সংগঠন। জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

এ সময় কার্যক্রমটির প্রধান উদ্যোক্তা লুৎফুল্লাহ হোসাইন পাভেল জানান, এখন থেকে জেলা শহরের কারো যদি করোনা অথবা ডেঙ্গুর কারণে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। এ উদ্দেশে একটি অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে। যে কেউ চাইলে সেখান থেকে সেবা নিতে পারবেন।

পাভেল বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে এবং বিনামূল্যে সেবা দিতেই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠে কাজ করছি। আপাতত চারটি আধুনিক অক্সিজেন মেশিন ও ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আমরা পথচলা শুরু করেছি। চাহিদা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে আরো সংযোজন করা হবে। শুরুতে এই সেবা কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী ২৪ ঘণ্টা পেলেও পরবর্তী সময়ে সমগ্র জেলায় সম্প্রসারিত করা হবে।’

এই অক্সিজেন সেবা পাওয়ার জন্য জরুরি হটলাইন নম্বর ০১৭১১১৪৫৬৬৮-এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন পাভেল।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুখ্য সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. খালেকুল ইসলাম ববি, সমন্বয়কারী শহীদুল হক লাভলু ও এহতেশামুল হুদা মুনাব্বী।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বর্ষার শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ায় গত ১৭ জুন জেলা সদরের একদল তরুণ ‘ডেঙ্গু রোধে কিশোরগঞ্জ’—নামের একটি স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন। পরে গত ১৮ জুন থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে এডিস মশার জন্মস্থল বিনাশ করতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ছয়টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে পৌরবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১২০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবী এই কর্মসূচিতে কাজ করেন। টানা দুই সপ্তাহ ধরে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।

কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে অক্সিজেন ব্যাংক।