কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আসামি সাইদুল গ্রেপ্তার
গাজীপুরের সালনায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আসামি সাইদুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন জানান, গত সোমবার রাতে গাজীপুরের সালনা এলাকায় কলেজ ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং নিহতের মা ও দুই বোনকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে জখমের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর গতকাল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, ২০২০-এর করোনাকালীন সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সবাইকে আরবি পড়ানোর জন্য গৃহশিক্ষক হিসেবে সাইদুল ইসলামকে ভুক্তভোগীর বাবা তাকে নিয়োগ করে। এসুবাদে তিনি প্রতিনিয়ত বাসায় যাওয়া-আসা করতেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সাইদুল ও কলেজছাত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০-এর ডিসেম্বরে তারা দুজন মৌখিকভাবে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সাইদুল বিয়ের বিষয়টিকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরে সাইদুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ওই পরিবার।
খন্দকার আল মইন বলেন, ২০২২-এর অক্টোবর মাসে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী গাজীপুর সদর থানায় বিভিন্ন সময়ে তাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে সাইদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ফলে, কিছুদিন সাইদুল শান্ত থাকে। কিন্তু, গত দুই মাস ধরে ভুক্তভোগীর কলেজে এবং বাসার বাইরে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সাইদুল। বিয়ে না করলে ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন সাইদুল।
একপর্যায়ে সাইদুল জানতে পারেন, ওই ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়টি সাইদুল মেনে নিতে না পেরে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন।