করোনা মহামারি ও রমজানে অসহায়দের জন্য ফ্রি-হাট
রমজান আর বাংলা নতুন বছরে করোনা মহামারি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় ক্রয়সামর্থ্যহীন কৃষক পরিবারগুলোর পাশে মাসব্যাপী ফ্রি-হাট কর্মসূচি নিয়ে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ বুধবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়িতে ফ্রি-হাট কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়।
হাটের প্রবেশ পথে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়। হাটে স্বেচ্ছাসেবী দোকানি ও ক্রেতাদের গ্লাভস ও মুখে মাস্ক ছিল। প্রতিটি স্টল সাজানো ছিল প্রতি তিন ফুট দূরত্বে। স্টলগুলোতে ছিল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি, লাউ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, জ্যান্ত মাছ, পেঁয়াজ, আলু ও ইফতারের জন্য পবিত্র মদিনার খেজুর। মাসব্যাপী চলমান এই হাটের আজ বুধবার ছিল তৃতীয় হাট।
আয়োজকরা জানান, প্রতিটি হাটে আয়োজন থাকে ৫০০ পরিবারের পুরো এক সপ্তাহের বাজার। আজকের হাটেও তাদের জন্য ছিল প্রয়োজনীয় বাজার সদাই। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও গরম বাতাসে এই অঞ্চলের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন ফ্রি-হাট কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মসূচির সমন্বয়ক একে এম আজহারুল ইসলাম পলাশ জানান, কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা লোক-লজ্জার কারণে সংকোচবোধ করেন তাদের জন্য আমরা ফোন কলে সেবা গ্রহণের ব্যবস্থা রেখেছি। মোবাইলে আমাদের জানালে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা প্রয়োজনীয় বাজার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।
মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও মহামারির মধ্যে ক্রয়সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য পুরো রমজান মাসে চলমান থাকবে এই হাট। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সহস্রাধিক পরিবারের জন্য নতুন পোশাক প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে।
আজকের ফ্রি হাটে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। হাট চলার সময়ে কর্মসূচি পরিদর্শন করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন।