করোনায় দেশে একদিনে রেকর্ড ১৮ জন আক্রান্ত, মৃত ১
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জন।
এ ছাড়া এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। বাংলাদেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জন। এ ছাড়া এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। বাংলাদেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরো তিনজন। বাসায় ফিরে গেছেন ৩৩ জন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা যখন বাইরে যাবেন, তখন মাস্ক লাগিয়ে যাবেন। বাজার-ঘাটে, রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, বেতন দেওয়ার পর তারা গার্মেন্টস বন্ধ রাখবে। হাসপাতালেও চিকিৎসাসেবা বাড়িয়েছি। পরীক্ষা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষা যাঁরা করেন, তাঁরা ৩৬৭ জন পরীক্ষা করেছে।’
গার্মেন্টকর্মীদের গাড়ি চলাচল বন্ধের মধ্যেই ঢাকায় প্রবেশ করানো হলো, এ দায় কার? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। তবে এটি সঠিক হয়নি।’
এর আগে গতকাল শনিবার নয়জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে দুই শিশু রয়েছে। আর মারা গিয়েছিল দুজন।
গত ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আজ রোববার পর্যন্ত বিশ্বে ৬৫ হাজার বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১২ লাখ এক হাজার ২৫৩ জন। এঁদের মধ্যে বর্তমানে আট লাখ ৮৮ হাজার ৬১৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৬ হাজার ৭৮২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে দুই লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৬৪ হাজার ৯৯০ জন রোগী মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।