করোনায় আরো চারজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৯ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। এ সময় আক্রান্ত ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘যারা বিভিন্ন দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন, বিশেষ করে নিউইয়র্কে আমাদের বাংলাদেশি ভাইয়েরা অনেক সংখ্যায় মৃত্যুবরণ করেছে। অন্যান্য দেশেও মারা গেছেন। তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। এবং যাঁরা সেখানে বসবাস করছেন, তাঁরা নিরাপদে থাকবেন, এই দোয়া করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের অনেক লোক দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ। তারা একবেলা কাজ না করলে খাওয়া জোটে না। এ ধরনের অনেক লোক আছে, শহরেও আছে, গ্রামেও আছে। গ্রামে যারা আছে, তারা কিন্তু চিহ্নিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করেন। তাদের লিস্ট আছে। সমাজের বিত্তবান যারা সাহায্য করছেন, এ ছাড়া আরো যারা এগিয়ে আসবেন এ সময়ে, তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় অনেক স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়, সাবধানে স্টেটমেন্ট দেওয়া উচিত। যে স্টেটমেন্টে সরকারের ক্ষতি হবে, এ ধরনের স্টেটমেন্ট আমরা আশা করি না। স্টেটমেন্ট দেওয়ার জন্য যারা ন্যস্ত আছেন, তাঁরাই স্টেটমেন্ট দেবেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন ধরে বিএনপির স্টেটমেন্ট দেখছি। কিন্তু বলতে চাই, বিএনপি থেকে আজ পর্যন্ত একটি ব্যক্তিও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। একটি লোকও এগিয়ে আসেনি কিছু সাহায্য নিয়ে, খাবার নিয়ে। বাংলাদেশের কোনো জায়গায় আমরা দেখিনি বিএনপির সংগঠন বা বিএনপির কেউ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছে, তাদের খাওয়ার-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই জিনিসটা আমরা দেখতে পাইনি। কাজেই বড়বড় কথা বলে, ফাঁকা বুলি দিয়ে কাজ হবে না। আমাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এই প্রয়োজনের সময়।’
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার কোটি টাকার একটা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্যাকেজটি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যাতে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাটা ভালো থাকে, ভেঙে না পড়ে। নাহলে এরপর তো অনেক লোক বেকার হয়ে যাবে, অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের যে গ্রোথ, এটা যেন বজায় থাকে, সে জন্য এই প্যাকেজ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। আশা করি, যখন আমরা করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাব, আমাদের অর্থনীতি আগের মতোই চাঙ্গা হয়ে উঠবে।’