করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে আইসিডিডিআর,বি সিদ্ধান্ত নিবে
বাংলাদেশে চীনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানির করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, চীনা কোম্পানির যাবতীয় নথিপত্র আমরা আইসিডিডিআর,বি’কে দিয়েছি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
চীনা কোম্পানির আবিষ্কৃত করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়িই করি এ ভ্যাকসিনের বিষয়ে সুখবর পেতে আমাদের কম করে হলেও আরো ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এখন থেকে কাজ শুরু করলেও আগামী জানুয়ারির আগে কোনো ফলাফল পাব বলে মনে হয় না।’
আবদুল মান্নান বলেন, চীনা কোম্পানির এ ভ্যাকসিন পরীক্ষা (ট্রায়াল) করার জন্য চার হাজার ২০০ জন চিকিৎসক বা নার্স প্রয়োজন হবে। যারা সরাসরি করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। আমাদের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে এর চেয়েও বেশি লোকবল রয়েছে। কাজেই পরীক্ষার জন্য মানুষের সমস্যা হবে না। এখন এ বিষয়ে আইসিডিডিআর,বি সিদ্ধান্ত নেবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। আমাদের এখানে এখনো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন আমাদের দেশে পরীক্ষা করতে চাইছে।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, চীন ছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউরোপের যেসব দেশ করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে, আমরা তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। আমরা আমাদের রোগীদের স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সিনোভেক ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ধাপগুলো অতিক্রম করে বর্তমানে ব্রাজিলে এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে। ব্রাজিলের পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশেও চার হাজার ২০০ মানুষের দেহে এ ভ্যাকসিন পুশ করে পরীক্ষা চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দেয়।