করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবহেলা থাকায় আদালতের অসন্তোষ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবহেলা থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত। আর একে কেন্দ্র করে পেঁয়াজের মতো মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে বাড়াতে না পারে এবং কালোবাজারি ঠেকাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ এই মৌখিক নির্দেশনাসহ বেশ কিছু মন্তব্য করেন।
করোনা প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত। আজ সোমবার তা প্রতিবেদন আকারে জমা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা শনাক্তকরণে বিমানবন্দরে দুটি থার্মাল স্ক্যানার সচল আছে, দুটি বিকল আর নতুন করে চারটি আনার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট ও বেসরকারি হাসপাতালে সেল গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। দেশের সব বন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে করোনা শনাক্তকরণে।
সবকিছু শুনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে, এত দিন চলে গেলেও করোনা প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয়, এমনকি এখানে অবহেলা রয়েছে। পরে আদালত কয়েকটি মৌখিক নির্দেশনা দেন।
দেশে করোনা শনাক্তের খবরের পর থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশের দাম আরো বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে আদালতের মন্তব্য হলো পেঁয়াজের মতো যাতে কেউ কালোবাজারি করতে না পারে, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২০ শয্যা এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ২০ শয্যা বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে এবং একটি মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছে।