করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্কা কতটা?

সারা বিশ্বে এখন মহা আতঙ্কের নাম ‘করোনাভাইরাস’। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা না গেলেও মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানেই কি মৃত্যু নিশ্চিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানাচ্ছে, গবেষকদের ধারণা ছিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে পাঁচ থেকে ৪০ জন রোগী মারা যেতে পারে। তবে সে ধারণা কিছুটা পাল্টেছে। প্রতি হাজারে এখন মাত্র ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। অর্থাৎ মৃত্যুহার এক শতাংশের কাছাকাছি। যদিও মৃত্যুর বিষয়টি নির্ভর করে বয়স, লিঙ্গ ও স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর।
তবে, অনেকেরই ধারণা করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার বের করাটা বেশ কঠিন কাজ। এমনকি সুনির্দিষ্টভাবে কতজন মারা গেল, তা গণনা করাটাও অত্যন্ত জটিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ আক্রান্তের সংখ্যাই হিসাবের বাইরে থেকে যায়। কারণ মৃদু উপসর্গ হলে কেউই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণা বলছে, মৃদু সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে কিছু দেশ পারদর্শী হলেও অনেক দেশেই তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। সে কারণে আক্রান্তের হিসাব রাখাটা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আক্রান্তের সংখ্যা ঠিকভাবে গণনা করা হলে মৃত্যুহার আরো বেশি হতো বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক, অসুস্থ আর পুরুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। এ ক্ষেত্রেও চীনের পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমণের শিকার ৪৪ হাজার মানুষের মধ্যে মধ্য বয়সীদের তুলনায় বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ গুণ বেশি। আর ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম। তবে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুহার পাঁচ গুণ বেশি।