আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দীর্ঘায়িত হলেও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ দীর্ঘায়িত হবে না। এরই মধ্যে টানেলের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেলের নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ১০ হাজার ৫০০ সেগমেন্টের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সেগমেন্ট টানেলে স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে নদীর দুপাড়ে প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার চার হাজার ৪৬১ কোটি দিচ্ছে। বাকি পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীন সরকার ব্যয় করছে। টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ২৯৩ জন চীনা নাগরিক কর্মরত থাকলেও ৪৫ জন চীন থেকে ছুটি শেষে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে ২৮ জন কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনা নাগরিকরা বা করোনাভাইরাস কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কাজ যথারীতি এগিয়ে চলেছে। তবে করোনার প্রভাব আরো দীর্ঘায়িত হলে পদ্মা সেতুতে যতটা বিলম্বিত হতে পারে, ততটা কর্ণফুলীতে না-ও হতে পারে।’

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখতে সরেজমিনে এসেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামের সমস্যা এখানে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরাই সমাধান করবেন। বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। তেমন কোনো সমস্যা হলে কেন্দ্র থেকে বিষয়টি দেখা হবে।’

এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম উপস্থিত ছিলেন।