করোনাকালেও রিজার্ভে, রেমিটেন্সে রেকর্ড
করোনার সংকটের মধ্যে গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তিন দফায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন রেকর্ড গড়েছে। প্রায় তিন বছর পর গত ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।
এরপর ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সর্বশেষ ৩০ জুন ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬০১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আমদানি-রপ্তানি কম থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার আয় যেমন কম ছিল তেমনি ব্যয়ও কম ছিল। তবে শেষ সময়ে এসে রেমিটেন্স বেড়েছে হু হু করে। জুনে রেমিটেন্স এসেছে ১৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ। গত বছরের জুনের তুলনায় এবার রেমিটেন্স বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার। এর আগে কোনো অর্থবছরে এতবেশি রেমিটেন্স আসেনি। আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। অন্যদিকে করোনার কারণে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে। যার ফলে রিজার্ভ বেড়েছে।
করোনার শুরুর দিকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলো ডলার কিনেছে। কিন্তু শেষের দিকে এখন ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন দেখায়, ২৯ জুন রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৫৯১ কোটি ডলার। আর ৩০ জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬০১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ২৭১ কোটি ডলার।
২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থাৎ তিন বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার। আর জুন মাসেই রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ২০১৫-১৬ সালে রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ১৬ কোটি ডলার। পরের বছর হয় তিন হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার। পরের দুই বছর তিন হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঘরে রিজার্ভ উঠানামা করেছে।