করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যু বেশি
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি মারা গেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে ১৫ জন মারা গেছে। এরপরে রয়েছে ঢাকা বিভাগের অবস্থান। এখানে মারা গেছে ১০ জন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত অনুযায়ী ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী চারজন।
বয়সভিত্তক মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের চারজন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ১০ জন, এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন। মৃতদের মধ্যে হাসপাতালে ২৮ জন এবং বাসায় মারা গেছে ৯ জন।
বিভাগভিত্তিক ঢাকা বিভাগে দশজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, সিলেট বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, রাজশাহীতে দুজন, রংপুরে দুজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো মৃত্যুবরণকারী ৩৭ জন নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭০৯ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো দুই হাজার ৯১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ মঙ্গলবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৭ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩০ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৫ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৩ হাজার ৪০৫ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯৫৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।