কটিয়াদী থানার ওসি প্রত্যাহার, তিনজন গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহিয়াত আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এমএ জলিলকে ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে কটিয়াদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম ও উপজেলা প্রকৌশলী আতাউর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন।
কটিয়াদী থানার নতুন ওসি শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হচ্ছেন মেহেদী হাসান, আতাউর রহমান মিন্টু ও কামাল হোসেন। আজ বিকেলে তাদের আদালতে পাঠালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাছলিমা আক্তারের তাদের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ দুপুরে কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। কটিয়াদী সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, শিল্পপতি সিদ্দিকুর রহমান, কটিয়াদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ পারভেজ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ রনি, পৌর যুবলীগের সভাপতি জাহিন শাহরিয়ার ইমরান, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তাহের।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান সরকারি খাস জমিতে অনৈতিকভাবে নিজ স্ত্রীর নামে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে বিরোধের কারণে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের লোকজনের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে কটিয়াদী-২ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদের কর্মী-সমর্থকদের নামে।
বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি করে স্বাস্থ্য সচিবকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
গতকাল শনিবার কটিয়াদী উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের বাড়ি ও নির্মাণাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমসহ কয়েকজন আহত হন। হামলার সময় স্বাস্থ্য সচিব তাঁর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।