কক্সবাজারে পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে আসা নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় যে চারজনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন আরিফুল ইসলাম আশিক, বাবু, ইসরাফিল ও রিয়াজ উদ্দিন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন আটক ‘হোটেল জিয়া গেস্ট ইন’ এর ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ধর্ষণের শিকার নারী অভিযোগ করেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তিনি। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ধাক্কা লাগলে; কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় ওই তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাঁকে ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
খবর পেয়ে গতকাল বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।