এবার বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মাইলসের মামলা
বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনুমতি ছাড়াই ১৪ বছর ধরে জনপ্রিয় মাইলস ব্যান্ডের ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গানগুলো ব্যবহার করার অভিযোগে টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের পাঁচজনের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলা করেছে ব্যান্ডদল মাইলস।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মাইলস ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও ভোকাল শাফিন আহমেদ এবং হামিন আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটির আবেদন করেন।
এ বিষয়ে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলালিংকের পাঁচজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় একই আদালতে মামলা করেন রকস্টার জেমস। সে মামলাতেও বিচারক সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
জনপ্রিয় গায়ক জেমস এদেশের ব্যান্ড মিউজিকের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আশির দশকের শুরুতে চট্টগ্রামে সংগীত জীবন শুরু তাঁর। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন। সঙ্গে ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। প্রকাশ করে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। প্রথম অ্যালবাম দিয়ে সেই সময় স্পটলাইটে চলে আসে ব্যান্ডটি।
১৯৮৭ সালে প্রকাশ পায় ‘অনন্যা’। জেমসের প্রথম একক অ্যালবাম। আসিফ ইকবালের লেখা অ্যালবামের প্রতিটি গানে যেন নতুন এক জেমসের জন্ম হয়। আশির দশকের শেষে শুরু হয় তারকা জেমসের যাত্রা। ১৯৯৩ সালে প্রকাশ হয় ‘জেল থেকে বলছি’। প্রতিটি অ্যালবাম জেমসকে একটু একটু করে নিয়ে যায় শীর্ষ অবস্থানে। ‘ফ্লপ’ শব্দটি নেই জেমসের ক্যারিয়ারে।
‘ফিলিংস’ থেকে জেমস আরও তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ‘নগর বাউল’, ‘লেইস ফিতা লেইস’ ও ‘কালেকশন অব ফিলিংস’- প্রতিটি অ্যালবামই সুপার হিট। এর মধ্যে প্রকাশ পায় জেমসের আরও তিনটি একক অ্যালবাম। সেগুলো হলো- ‘পালাবো কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ ও ‘ঠিক আছে বন্ধু’।
ব্যান্ড সংগীত নিয়ে বিতর্কিত ধারণা কমতে থাকে নব্বই দশকে। জেমসের ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’র টাইটেল গানটি জেমসের একক জনপ্রিয়তাকে শীর্ষে নিয়ে যায়। ‘কালেকশন অব ফিলিংস’-এর পর জেমস গড়েন নতুন ব্যান্ড। নাম ‘নগর বাউল’। ‘ফিলিংস’ ছেড়ে দেওয়ার পর জেমস মনোযোগী হোন একক ক্যারিয়ারে। ‘নগর বাউল’ থেকে প্রকাশ পায় মাত্র দুটি অ্যালবাম- ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘বিজলি’।
বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বলিউডেও জনপ্রিয় জেমস। ২০০৫ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ভিগি ভিগি’ দিয়ে বলিউড ক্যারিয়ার শুরু। এরপর ২০০৬ সালে ‘চাল চালে’, ২০০৭ সালে ‘আলবিদা’ ও ২০১৩ সালে প্রকাশ প্রায় ‘বেবাসি’ গানগুলো।
ব্যক্তিজীবনকে সামনে আনতে চান না জনপ্রিয় এই তারকা। তাই তাদের সম্পর্কে ভক্তদের জানাশোনাও কম। জেমসের স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদ। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দানেশ। দুই মেয়ে জান্নাত ও জাহান।
সাম্প্রতিক সময়ে জেমসের নতুন গান প্রকাশের সংখ্যা খুবই কম। তবে পুরানো গানেই ভক্তদের মনে এখনও সমান দোলা দেন তিনি। জেমসের গানের সুরক্ষায় সমর্থন জানাচ্ছেন ভক্তরা।