এক ব্যক্তির জিডিতে মামুনুল হকের আরেক বিয়ের খবর
জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নামের এক নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাঁর ভাই বলে পরিচয় দেওয়া মো. শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক তাঁর বোন লিপিকে নিজের স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর বোন বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, নিখোঁজ জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বানারহাওলা গ্রামের বাসিন্দা।
শাহজাহানের দাবি, তাঁর বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপির সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়েছিল গত বুধবার। তাঁর বোন জানিয়েছিলেন, তিনি মোহাম্মদপুরে দিলরুবা নামের এক আপার বাসায় আছেন।
শাহজাহান জিডিতে উল্লেখ করেন, এর মধ্যে মামুনুল হক তাঁকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নেন। সেখানে মামুনুল জানান, তাঁর বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপিকে তিনি বিয়ে করেছেন। এরপর শাহজাহানকে বিয়ের চুক্তিনামাও দেখান মামুনুল। তবে লিপি বর্তমানে কোথায় আছেন, তা জানেন না শাহজাহান। আর তাই বোনের নিরাপত্তা এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য তিনি আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
এদিকে, জিডির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ।
এর আগে গত শনিবার মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ওরফে ঝর্ণার ছেলে পল্টন মডেল থানায় একটি জিডি করেছিলেন। জিডিতে তিনি নিজের, তাঁর মা ঝর্ণা ও ঝর্ণার তিনটি ডায়েরির নিরাপত্তা চেয়েছেন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে একটি জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
ঝর্ণার ছেলে জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে আমার মা জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ধানমণ্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের বাসায় উপস্থিত হয়ে আমার মায়ের কথা জিজ্ঞাস করি। বাড়ির মালিক জানান যে, গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে আমি আমার মায়ের কক্ষে প্রবেশ করে তাঁর ব্যক্তিগত তিনটি ডায়েরি—একটি সাদা রঙের ক্লিপ দিয়ে স্পাইরাল করা নীল ও ধূসর রঙের। অন্য একটি ডায়েরিতে আরবি লেখা এবং নিচের দিকে জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম পলাশ নরসিংদী লেখা। ওই ডায়েরিতে কভার পেজ ছাড়া ১ থেকে ৮৭ পৃষ্ঠা রয়েছে। অন্য ডায়েরিটি ধূসর রঙের। ডায়েরিটি কভার পেজ ছাড়া ১ থেকে ৯০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আমার হস্তগত হয়।’
জিডিতে আরও বলা হয়, ‘আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে পল্টন মোড়ে পৌঁছানোর সময় কয়েকজন অপরিচিত লোক আমাকে অনুসরণ করে। এই অবস্থায় আমার জীবন, আমার মা জান্নাত আরার জীবন এবং ডায়েরিগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। অতএব আমার জীবন, আমার মায়ের ও ডায়েরির নিরাপত্তা বিধানের জন্য জিডি করলাম।’