বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন প্রণালীর জন্য যে আইনটা থাকা দরকার সেই আইনটা করা হয়নি এখনও। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারাও কেউ করেনি। আমাদের সরকারের সময় আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই নির্বাচন কমিশন আইন করা হবে।’

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আওয়ামী লীগ সরকার অনুসরণ করে আসছে বলেও দাবি করেন হানিফ। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিটা যৌক্তিক না। কারণ, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে বহুবার বলেছিলেন, দেশে পাগল ও শিশু ছাড়া কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই।’

আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের নিজ বাসায় সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা এসব কথা বলেন।

এ সময় হানিফ আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরে উনি যদি ক্ষমা করেন তবেই খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন।’

খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা- মির্জা ফখরুলের এমন দাবি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল হঠাৎ করে এটা আবিষ্কার করেছেন। খালেদা জিয়া একজন অসুস্থ মানুষ, তাঁর এই শারীরিক অসুস্থতার সময় এমন কোনো কথা বলা উচিৎ না যাতে তাঁর সম্মানহানি হয়।’

এ সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল আলম সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রমুখ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।