ইভিএমে আস্থা রাখার প্রশ্নই আসে না : ইশরাক
ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘ইভিএমে আমাদের আস্থা রাখার প্রশ্নই আসে না। ইভিএমের ভেতরে যদি প্রোগ্রাম সেট করা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ ফলাফল পরিবর্তন করা যায়। এ ফলাফল পাল্টে যাবে নিশ্চুপে, কারো কোন কিছু বোঝার ক্ষমতা থাকবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন।
ইশরাক বলেন, ‘ইভিএম সম্বন্ধে ইলেকশন কমিশনের যে অংশটা রয়েছে সেটা আমাদের বুঝিয়েছে। কিন্তু এখানে কী সফটওয়্যার দ্বারা ইভিএম চালিত হচ্ছে এবং ভেতরে কী প্রোগ্রাম রয়েছে সেই ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই।’
বিএনপির এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আমরা দিয়েছি সেই অভিযোগ নিয়ে এই নির্বাচন কমিশনের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। সরকারি দলের প্রার্থীরা যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন সেভাবে করে যাবেন। এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা আসলে নির্বাচন কমিশনের বা রিটার্নিং অফিসারের নেই।’
ইশরাক আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা, রঙ্গীন ব্যানার আমরা দেখেছি। রিটার্নিং অফিসার বরাবর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ও তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ দিয়েছিলাম। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আমরা আজ এসেছি। রিটার্নিং অফিসার আমাকে জানিয়েছে অভিযোগের ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি চিঠি দিয়েছে। এখন ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের জন্য রিটার্নিং অফিসার অপেক্ষা করছে। তাছাড়া এখানে আসার আরেকটা উদ্দেশ্য হচ্ছে ইভিএম সম্বন্ধে জানা।’
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইশরাক বলেন, ‘আমাদের এই লড়াই চলবে। সারা জীবন চলবে। আমরা তো মানুষের অধিকারের লড়াই করছি। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবার লড়াই করছি। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করছি। এই লড়াইয়ের কোন শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘একটি ভুয়া নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে জয়-পরাজয় নির্ভর করে না। আমাদের জয় হয়ে গেছে। কারণ দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এই সরকারের বিপক্ষে। এই সরকারের সকল প্রার্থীর বিরুদ্ধে চলে গেছে। এটি তারা বুঝতে পেরেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা তামাশার নির্বাচন করেছিল।’