বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবে তুমুল জনপ্রিয় এখন এনটিভি। ইউটিউবের প্রিমিয়াম পার্টনার এনটিভি অনলাইনের সিএমএইচে থাকা ১৯টি চ্যানেল ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি সাবস্ক্রাইবার পেরিয়েছে। পাঁচটি গোল্ড প্লে-বাটনসহ ১৫টি প্লে-বাটন দিয়েও এনটিভি অনলাইনকে পুরস্কৃত করেছে ইউটিউব। বাংলাদেশের কোনো স্টেশনের মধ্যে এনটিভিরই রয়েছে এত সাবস্ক্রাইবার ও প্লে-বাটন। এ ছাড়া ফেসবুকে লাইক সংখ্যায়ও দেশি টিভিগুলোর মধ্যে সবার ওপরে এনটিভি, রয়েছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ লাইক।

বিশ্বজুড়ে মুঠোফোন-বিপ্লবের পর তথ্য ও বিনোদনে শ্রেণিব্যবধান কমে এসেছে। শুধু অভিজাতরাই নয়, প্রান্তিক মানুষের হাতেও এখন স্মার্টফোন। ইন্টারনেট সহজতম হওয়ায় ও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পে যে কেউ যেকোনো কিছু মুহূর্তে মুঠোফোন-পর্দায় পেতে পারেন, তিনি যা চান—তথ্য, বিনোদনসহ জানা-অজানা নানা কিছু। আর পাঠক-দর্শকের আগ্রহ মেটাতে এনটিভি ও এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সমানতালে তৈরি করছে নানা কনটেন্ট বা আধেয়। সেই ধারাবাহিকতায় মিলছে এসব স্বীকৃতি।

বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এখন মানুষ অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটের চেয়ে বেশি ঢুঁ মারে ইউটিউবে। বাংলাদেশও রয়েছে এ তালিকায়। তথ্যপ্রযুক্তির এই পালাবদলের মুহূর্তটি উপলব্ধি করতে পেরে শুরু থেকেই ইউটিউবে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে এনটিভি অনলাইন। খবর, নাটক, সিনেমা, গান, স্বাস্থ্য, জীবনধারা, মজা, ভ্রমণ, ইসলামিক শো, কুকিং শো, খেলা, প্রবাসজীবনসহ রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল। প্রতি মাসে গড়ে ৫০ কোটি মিনিট ভিডিও দেখা হয় এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলগুলো থেকে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে।

ফেসবুকেও এনটিভির রয়েছে জোরালো উপস্থিতি। এনটিভির ভেরিফায়েড পেজে লাইক সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। ফেসবুকের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ওয়াচেও তুমুল জনপ্রিয় এনটিভি অনলাইন। প্রতি মাসে গড়ে ২০ কোটি মিনিট ভিডিও দেখা হয় ওয়াচ প্ল্যাটফর্ম থেকে। এ ছাড়া ফেসবুক মেসেঞ্জারে সম্প্রতি চালু হয়েছে ফেসবুক বট ক্যামেলিয়া। ইতোমধ্যে ক্যামেলিয়ার মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং খবর, বিনোদন, ফটো গ্যালারি, কুইজসহ বিভিন্ন সার্ভিস দিচ্ছে ক্যামেলিয়া।

এনটিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এর ওয়েবসাইট ntvbd.com। দেশ-বিদেশের সব খবরই তাৎক্ষণিকভাবে মিলছে এনটিভির ওয়েবসাইটে। এনটিভির সব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছে এই ওয়েবসাইট। প্রতি মাসে ৪০ লাখ ইউনিক ভিজিটর এনটিভির ওয়েবসাইটে এসে খবর পড়েন।

এ প্রসঙ্গে এনটিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রধান হেড অব এনটিভি অনলাইন খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ জানালেন, ‘সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে ও দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু নিরীক্ষা করে নিত্যনতুন কনটেন্ট তৈরি করছে এনটিভি। তথ্য-বিনোদনের অবাধ মাধ্যম এনটিভি। আর তাই আমরা একে এক শব্দে বলি ইনফোটেইনমেন্ট। রুচিশীল, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকে ধারণ করছি আমরা। আর সে কারণেই দর্শকের বিপুল আগ্রহ ও ভালোবাসায় সিক্ত এনটিভি। ইউটিউবে এক কোটি সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ তারই দৃষ্টান্ত। দেশ-বিদেশের অগণিত দর্শক-শ্রোতা-পাঠককে আমাদের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে এনটিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এনটিভি অনলাইন। চালু হয় ওয়েবসাইট, খোলা হয় ইউটিউব চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোরালো উপস্থিতি তৈরি করে।