আ.লীগনেতার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, আসামি যুবলীগনেতাসহ ১১ জন
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগনেতা জাহাঙ্গীর মল্লিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ বিক্ষোভ করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তিতুদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মল্লিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জাহাঙ্গীরের লাশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অংশ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের একটি অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে কবরীরোডে স্থানীয় সাংসদের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের পরাজিত শক্তি প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদেরও হত্যা করছে। যুবলীগ নামধারী ওইসব বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করছে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তারা আরও বলেন, বিরোধের প্রথম দিক থেকে থানায় মামলা নিয়ে ঘুরলেও সে মামলা রেকর্ড করেনি। পরে আদালতে মামলা হলেও পুলিশের তদন্তকাজে অবহেলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান বলেন, ‘জাহাঙ্গীর মল্লিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রঞ্জিত মল্লিক ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসআই ভবতোষ রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখনো কোনো আসামিকে ধরা যায়নি। আসামিদের প্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’