আম্পানের প্রভাব : আনোয়ারায় জোয়ারের পানিতে গ্রাম সয়লাব
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’-এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূল রায়পুর ইউনিয়নের বাঁধ ভেঙে বারআউলিয়া গ্রাম খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে আনোয়ারা উপকূলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপকূলের ৫০ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার ৫৮টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্যোগকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। একইসঙ্গে মানুষ তাদের গবাদি পশুও নিয়ে আসতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম রায়পুর, বারশত, বটতলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
এদিকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গণ্ডামারা, শেখেরখিল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে নিযুক্ত এক হাজার ৬৫ জন প্রশিক্ষিত সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক যেকোনো পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। তিনটি সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সচল ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত স্কুল ও কলেজের ভবনগুলোও আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।’
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ আলম বলেন, ‘উপজেলার পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ সব সরকারি প্রাথমিক স্কুলকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।